নিয়মিত পড়াশোনা করার জন্য আপনার যে জিনিস সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হল ধৈর্য্য । এই একটি মাত্র বিষয় যা আপনাকে মাথায় রেখে পড়াশোনা করতে হবে। আমি ধরলাম আপনি দৈনিক ২ ঘন্টা পড়াশোনা করেন। আপনি খুব মনযোগ দিয়ে ঐ ২ ঘন্টা পড়েন কিন্তু তবুও আপনার মনে হয় যে, আপনি কিছুিই পড়েন নি । এমনটি আমার সাথে ও হত ।
আপনাকে নিয়মিত পড়াশোনা করার জন্য কিছু বদঅভ্যাস পরিহার করতে হবে ।
যেমন ফেসবুক চালানো; কোন ব্যক্তি নিয়ে চিন্তা করা, গান শোনা।প্রশ্ন হতে পারে ফেসবুকে চালানোয় ক্ষতি কি? উত্তর হচ্ছে, লাভ কি?ফেসবুকে প্রতিদিন যে কয়টি স্ট্যাটাস আপনি পড়েন সেগুলো থেকে কিছু শিখতে পারেন? শিখলে সেটা কি? সেসব নিয়ে কি ভাবেন? সেসব কি অন্যদেরকে বলার মতো? আপনি কি বলেন কাউকে যেন তাদের কল্যান হয়?
আবার কাউকে নিয়ে চিন্তা করা।আমরা পুরুষ।একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে একটা মেয়েকে পাওয়ার চিন্তা যেন আমাদের শিরায় শিরায় বিরাজ করে।এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে।তবে একটা মেয়ে কি আর একটা যোগ্যতাবিহীন কিংবা কমযোগ্যতাসম্পন্ন ছেলেকে বিয়ে করতে চাইবে? মেয়েরা আজকের দিনে বেশ উন্নত।তারা নিষ্কর্ম ছেলেদেরকে কিংবা নিজেদের থেকে কম যোগ্যতা সম্পন্ন ছেলেদেরকে বিয়ে করে না।আরে মেয়ে তো পরের কথা তার অভিভাবকও রাজী হবে না।তাই এই চিন্তাটাকে মাথা থেকে ফেলে দিতে হবে আপনার।মনে রাখতে হবে যে আপনি যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি হলে মেয়ে আর মেয়ের বাবা-মা এমনকি মেয়ে নিজেই আপনাকে বিয়ে করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে।
গান হচ্ছে এমন একটি ব্যাপার যা কল্পনায় কখনও কখনও এক ধরনের রোমান্টিক পরিবেশ তৈরি করে আবার কখনও কখনও বিষন্নতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে যা কেবল কল্পনাতেই থেকে যায়।আবার ধরুন, আপনি কল্পনায় এক কোটি টাকা পেয়েছেন কিন্তু সেটা যদি হাতে ধরা না দেয় তবে সেই কল্পনা কি অর্থহীন নয়?এই ধরনের কল্পনাকে জুতার নীচে রাখুন।নিজের সুন্দর ভবিষ্যতের চিন্তাকে জুতার ওপর পায়ের নিচে রাখুন আর পরিশ্রম করে যান।আল্লাহ যদি সহায় থাকেন, যেদিন সফল হবেন সেদিন জুতার ওপর পায়ের নীচে থাকা কল্পনাকে মাথায় তুলে নিয়েন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন